বিস্তীর্ণ সবুজের মাঝে উঁকি দিচ্ছে বেগুনি ফুল। তার মাঝে থোকায় থোকায় ঝুলছে শিম। আর এগুলো বস্তায় বন্দী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভারের ধামরাইয়ের কৃষকরা।
একই চিত্র বেগুন, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া ও ফুলকপির খেতে। এবার ধামরাইয়ের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে এসব সবজি। চাষিরা জানান, প্রতিদিনই মাঠ থেকে এই ফসল তুলে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায়। চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা।
একজন কৃষক বলেন, ‘এ বছর কপি হওয়ার কথা ছিল না বৃষ্টির জন্য, কিন্তু পরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ভালো ফলন হইছে। ফলন ভালো হওয়ায় আমরা কৃষকরা লাভবান হইছি।’
এদিকে কোনো কোনো জমিতে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।
বিষমুক্ত সবজি চাষ ও চাহিদা মেটাতে বছরজুড়েই সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানায় কৃষি অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায়, নগণ্য কিছু জায়গায় পোকার আক্রমণ হয়েছিল। সেগুলো আমরা তাৎক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। যেন ওই জমিতে আগামী বছর ওই সবজি চাষ না করে অন্য সবজি চাষ করে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিশ্র পদ্ধতিতে একইসঙ্গে একাধিক সবজি চাষেও ঝুঁকছে কৃষকরা। ফলে বছর জুড়েই শাকসবজি সরবরাহের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে এ অঞ্চল।