বছরের শেষ বোর্ড সভা। আলোচ্যসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু। সশরীরে আর ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিসিবির বর্তমান ১০ পরিচালকের সবাই।
বৈঠকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে আসন্ন বিপিএল। এবারের আসরকে জমকালো করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বোর্ড।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জনসমাগম হয় এমন একটা জায়গা আমরা একটা বিশাল বেলুন প্রচারণার জন্য দেবো। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে ক্যাম্পেইন চালু করেছি। এছাড়া ঢাকা, সিলেট চট্টগ্রাম একটি ট্রফি ট্যুর হবে।’
তবে আসর শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিক টানাপড়েন শুরু হয়ে গেছে। আগের আসরে ব্যাংক গ্যারান্টি সাড়ে ৮ কোটি টাকা থাকলেও, এবার সেটি কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র তিন কোটি টাকায়। তারপরও কয়েক দফা তারিখ পেছানোর পরও বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। ফলে আসর শুরুর আগেই তৈরি হয়েছে ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়ে অনিশ্চয়তা। বোর্ডসভায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গও।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি আর্থিক অবস্থা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা কয়েক দফা তারিখ পিছিয়েছি আর ব্যাংক গ্যারান্টির পরিমাণটাও কমিয়েছি। বিপিএল টিমগুলোর জন্য অতিরিক্ত প্রেসার যেন না হয় এজন্য টাইম বাড়াচ্ছি।’
বিপিএল ছাড়াও বোর্ডসভায় আলোচনা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী ক্রিকেটারদের নিয়ে। এছাড়া নারী ক্রিকেট নিয়েও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের পুরো দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৩ লাখ টাকা করে দেবো। এছাড়া আমরা নারীদের জন্য উইনিং বোনাস চালু করেছি।’
শিগগির শূন্য থাকা বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি।