বর্ষার পানি কমার সাথে সাথেই পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর থেকে সিরাজগঞ্জের লতিফপুর পর্যন্ত নৌপথের অন্তত ৬ থেকে ৮টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট।
বিশেষ করে আন্ধারমানিক ঘাটে প্রতিদিনই চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, কুতুবদিয়া ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে আসা পণ্যবাহী কোস্টার জাহাজ আটকা পড়ছে।
নৌপথে পানির গভীরতা কম থাকায় বাধ্য হয়ে জাহাজ থেকে সার, কয়লা, ক্লিংকার, পাথর ও খাদ্যপণ্য খালাস করে তা ছোট ছোট বাল্কহেডের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে পাবনার নগরবাড়ী, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌবন্দরে। এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যাচ্ছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা।
নৌপথের সংকট নিরসনে দ্রুত ড্রেজিং কার্যক্রমের আশ্বাস দিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের।
মানিকগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আহমেদ ফোনকলে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের এখানে হাইড্রোগ্লিফিক জরিপ হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদন হলেই আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে ওখানে দুইটা ড্রেজার বসাবো।’