বিদেশে এখন
0

বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না গাজাবাসী

ইসরাইলি আগ্রাসনে গভীর সংকটে ডুবে থাকলেও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না গাজাবাসী। বোমার আঘাতে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী এক নারী। যা দেখে অনুপ্রাণিত যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীর বাসিন্দারা।

ভয়াবহ ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা রূপ নিয়েছে ধ্বংসস্তূপের নগরীতে। বোমার আঘাতে বাড়িঘর ধুলোর সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই এখন বাস্তুচ্যুত। বিভিন্ন স্কুল ও অস্থায়ী তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েও রেহাই নেই। সবকিছু তছনছ করা নগরীতে ১৪ মাস পরে এসে বর্বরতার মাত্রা আরও বেশি বাড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

এতে করে কঠিন হয়ে পড়ছে বাড়িঘর হারা মানুষদের জীবনযাত্রা। খাদ্য, ওষুধ ও সুপেয় পানির সংকট করুণভাবে ভোগাচ্ছে। দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে খাবার পানি। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাও সুপেয় না হওয়ায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সুপেয় পানি। খাবারের জন্য, ওজু করার জন্য এবং জিনিসপত্র ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করারসহ সব কাজেই পানি লাগে। সুতরাং পানি ছাড়া জীবন কিছুতেই চলতে পারে না।’

এতো সংকটের মধ্যেও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না গাজাবাসী। ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উঁকি দেয়া একটু করো সবুজ ফসলি মাঠ তারই প্রতিচ্ছবি। যেখানে ৬৫ বছর বয়সী নারী আয়েশা আল-দাহলিসের হাত ধরে জন্মেছে পেঁয়াজ, রসুন, লেটুস, পালং শাকসবজি বাহারী সবজি। এখান থেকেই চলছে ৯ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ ।

আরেকজন বলেন, ‘এখানে পুরোটাই ধ্বংসস্তূপ ছিল, এগুলো আমি পরিষ্কার করেছিলাম। আমার পরিবারকে ক্ষুধা থেকে মুক্তি দিতে জমিটিতে ফসল ফলানোর জন্যই তা করেছিলাম।’

মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয়া গাজা উপত্যকায় ৬৫ বছর বয়সী এই নারীর ক্ষুধা নিবারণের যুদ্ধে এখন অনুপ্রাণিত অনেকেই। খাদ্যপণ্যের চরম সংকট ও অর্থনৈতিক দুরবস্থায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার অন্যান্য বাসিন্দাও ফসল ফলানোর দিকে ঝুঁকছেন।

ইএ