কোনোটি বিদ্যালয়ের পাশে, আবার কোনোটি লোকালয়ে। আইনের এমন ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে ইটভাটাগুলো। এছাড়া ইট তৈরির জন্য মাটি কাটা হচ্ছে ফসলি জমি থেকে। নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা।
অধিকাংশ ইটভাটারই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। হাওড়-নদী দখলের পাশাপাশি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা গড়ে তোলার কারণে ঝুঁকির মুখে জনস্বাস্থ্যও। লোকালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষিজমির পাশে গড়ে ওঠা ইটভাটার কালো ধোয়ায় বাড়ছে বায়ুদূষণ।
প্রতিবছর অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত ইট ব্যবসার মৌসুম। এইসময়ে বৈধ ভাটার পাশাপাশি অবৈধ ভাটাগুলোতেও চলছে ইট তৈরি ও পোড়ানোর প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ানো এবং অবৈধ ভাটা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়ার দাবি নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠনের।
তরী বাংলাদেশ আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, ‘যে পরিমাণ জরিমানা হচ্ছে তা দিয়ে কিন্তু আমরা পরিবেশের ক্ষতি পুছিয়ে দিতে পারছি না। এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর মাধ্যমে তৈরি এসব ইটভাটা বন্ধের আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
এদিকে অবৈধ ইটভাটা যেন আর চালু না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় ইটভাটা ভাঙার জন্য লো ক্যাট এস্কেভেটর দিয়ে হবে যা ৬ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রতিটি ইটভাটাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘যদি ইটভাটাগুলো পরিবেশ আইনের নিয়ম পূরণ করতে পারে তাহলে ভালো নাহলে আমরা আবারো নোটিশ দেবো। আর যেগুলো অবৈধ আছে সেগুলো ধ্বংস করতে হবে এমন নির্দেশনা আমাদের দেয়া আছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ১৭৭টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ১০৭টিরই বৈধতা নেই।