২০১১ সালে ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু দুর্ঘটনার তেরো বছর পর, এআই ও চিপ কারখানার জন্য ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতেও পরমাণু শক্তি এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলেছেন দেশটি সরকার।
নতুন জ্বালানি পরিকল্পনায় ২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর পারমাণবিক শক্তি, যা বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবহৃত হচ্ছে, তা ২০৪০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পূর্বাভাস করা হয়েছে। এর মূল কারণ জাপান ২০১১ সালের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর, পারমাণবিক চুল্লিগুলো আবার চালু করেছে দেশটি।
এ হিসাবে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জাপান।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সংঘাত ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার মতো ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর কারণে নবায়নযোগ্য ও পারমাণবিক জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে জাপান।