দেশে এখন
0

ভেঙে গেছে সাতক্ষীরার বেত্রবতী নদীর সাঁকো, দুর্ভোগে ৫ গ্রামবাসী

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বেত্রবতী নদীতে নির্মিত বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৫ গ্রামের মানুষ। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ড্রামের ভেলায় নদী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে পারাপারে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। এমনকি পণ্য পরিবহনে তৈরি হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তি।

প্লাস্টিকের ড্রামের ভেলায় ভেসে শিশুদের নদী পারাপারের এ চিত্র সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ওপর বয়ে যাওয়া বেত্রাবতি নদীর রায়টা এলাকায়। নদীর উপর থাকা একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন এমন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় শিশুদের।

নদীর দুই পাড়ে হেলাতলা ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা, কোঠাবাড়ির, শুভঙ্করকাটি, আলাইপুরসহ ৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলের মাধ্যম ছিল গ্রামবাসীর চাঁদায় নির্মিত এই সাঁকো। তবে সম্প্রতি পানির তোড়ে ভেঙে যায় সাঁকোটি।

এখানে উৎপাদিত বিপুল শাকসবজি বিক্রি হয় রায়টা বাজারে। হঠাৎ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ফসলসহ বিভিন্ন পণ্য পারাপারে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। তারা বলছেন, কয়েক বছর আগে নদীর দুই পাশে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বাঁশের সাকোর পরিবর্তে এখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য একাধিকার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, রায়টাসহ বেত্রাবতি নদীর আরও কয়েকটি স্থানে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস তার।

সাতক্ষীরার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ব্রিজটি মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন করে অনুমোদন আসা বন্ধ রয়েছে। এটা যখন শুরু হবে তখন আমরা দ্রুত কাজটা বাস্তবায়ন করতে পারব।’

সেতুটি নির্মাণ করা হলে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের সঙ্গে কয়রা ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

এএম