দেশে এখন
0

‘হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি’

দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক বার্তা জানান তিনি।

শোক বার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজেক মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

প্রধান উপদেষ্টা কবি হেলাল হাফিজের পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ড. ইউনূস বলেন, ‘কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।’

এর আগে আজ (শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত এ কবির বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। তার বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক, আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।

১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি । ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এ কবি।

ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন।

এএম