গত ২৮ অক্টোবর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ বন্ধের ঘোষণা দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এতে মালয়েশিয়া থাকা অন্তত ২৮ হাজার প্রবাসীর এমআরপি আবেদন আটকা পড়ে। এমনকি তথ্য জটিলতায় ই-পাসপোর্টের আবেদনও করতে পারছিলেন না অনেকে।
এ অবস্থায় বৈধতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন মালয়েশিয়া থাকা হাজার হাজার প্রবাসী। দ্রুত সংকট নিরসনে জানানো হয় জোর দাবি। অবশেষে দেড় মাসের মধ্যেই এই সংকট নিরসন করলো অন্তর্বর্তী সরকার । ১৫ ডিসেম্বর থেকে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার কথা জানিয়েছেন আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগামী ২ থেকে ৩ বছর এই সংকট হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এই কার্যক্রমে অগ্রাধিকারের তালিকায় নাম আছে মালয়েশিয়ার।
আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এমআরপি পাসপোর্ট পাওয়া শুরু করবেন এবং পরবর্তী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে যারা আবেদন করেছেন তারা পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।’
পূর্বের মতোই কুরিয়ার ছাড়াও সরাসরি পাসপোর্ট দিবে হাইকমিশন। ঢাকা থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার পর চলতি মাসের মধ্যেই প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট তুলে দেয়ার প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন বলেন, ‘যে ২৮ হাজার ৪শ ১৬ টা পাসপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে আমরা আশা করছি এই মাস শেষ হবার আগেই আমরা সব পাসপোর্ট ডেলিভারি করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগে অবৈধ হয়ে দেশে ফেরার ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়ায় খুশি মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা।
ই-পাসপোর্ট করতে বিদ্যমান শর্ত শিথিল করে এমআরপির তথ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট করার সুযোগ দেয়ার আহ্বানও জানিয়েয়েছেন মালয়েশিয়ার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।