থ্যাংক্স গিভিং ডের আগে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের মনোনয়ন চূড়ান্তের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ঝলক দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে। শনিবার, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদে ৩ কট্টর রিপাবলিকানকে মনোনয়ন দিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।
ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর পদে ইস্কনের অনুসারী তুলসি গ্যাবার্ডকে মনোনীত করার পর এবার মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রধান পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কাশ্যপ প্যাটেলের নাম প্রস্তাব করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এফবিআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে অতীতে বহুবার কুৎসা রটিয়েছেন ট্রাম্পের আগের শাসনামলের প্রতিরক্ষা বিভাগের চিপ অব স্টাফ কাশ্যপ প্যাটেল।
তবে কাশ্যপ প্যাটেলকে এফবিআই প্রধান পদে চূড়ান্ত করতে আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে ট্রাম্পকে। বর্তমান প্রধান ক্রিস্টোফার রে কে অব্যাহতি না দিলে কিংবা তিনি নিজেই পদত্যাগ না করলে কাশ্যপ প্যাটেল দায়িত্ব নিতে পারবেন না। যদিও শনিবারের পোস্টে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ট্রাম্প।
একই দিনে, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ডিইএ পদে ফ্লোরিডার শেরিফ চাদ ক্রনিস্টারের নাম ঘোষণা করেছেন ইএস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। সীমান্ত সুরক্ষা, ফেন্টানলসহ অন্যান্য মাদকের চোরাচালান ঠেকানোর মতো গুরুদায়িত্ব সামলাতে হবে শেরিফ ক্রনিস্টারকে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের নেতৃত্ব দিতে ফ্লোরিডার সাবেক অ্যাটোর্নি প্যাম বনডাইর সাথে যৌথভাবে কাজ করবেন সম্ভাব্য ডিইএ চাদ ক্রনিস্টার ও ট্রাম্প মনোনীত এফবিআই প্রধান কাশ্যপ প্যাটেল।
কট্টর রিপাবলিকান সমর্থকদের মনোনয়ন দেয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও নানাভাবে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প- মার্কিন গণমাধ্যমের এই গুঞ্জনও সত্য প্রমাণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্রান্সে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে চার্লস কুশনারকে মনোনীত করেছেন তিনি। কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের শ্বশুর চার্লস কুশনারকে মনোনয়ন দেয়ার পেছনে ট্রাম্পের যুক্তি চার্লসের মতো পরোপকারী ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনয়নের বেলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজস্ব একটি ফরমুলা কাজে লাগাচ্ছেন এমন একটি প্যাটার্ন নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে মার্কিন গণমাধ্যম। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকানদের আস্থাভাজন ও আর্থিকভাবে সচ্ছল- এমন ব্যক্তিদের প্রথমে গুরুত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় প্যারামিটারের যাদের বাছাই করা হচ্ছে, তারা হয় পরিবারের সদস্য, অথবা ট্রাম্পের আগের শাসনামলে প্রশাসনিক ভার সামলেছেন এমন কর্তাব্যক্তি।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা ছাড়াও মার্কিন গণমাধ্যমের নজর ছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আচমকা ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের ওপরে। ফ্লোরিডার ‘মার এ লাগো’ তে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের মূল ইস্যু ছিল কানাডীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্পারোপের সিদ্ধান্ত। যদিও বৈঠক শেষে এ নিয়ে মন্তব্য করতে সম্মত হননি কোনো নেতাই। শনিবার ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে ট্রুডোর সাথে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এমন স্বীকারোক্তি মিললেও, শুল্কনীতি নিয়ে কোনো ইঙ্গিতও দেননি ট্রাম্প।