গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন হাজারো শিক্ষার্থী। যার একটা বড় অংশ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এবার সেসব শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের ভিসা বাতিলে জারি করেছেন নতুন নির্বাহী আদেশ। ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাটিতে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে তাদের ভিসা বাতিল করা হবে। ধরে ধরে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে ফিলিস্তিনপন্থী বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের। আর শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি।
গাজা উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখলেও, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিলিস্তিন সমর্থকদের তাড়াতে বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
মার্কিন মুল্লুকে কোন হামাস সমর্থক ঠাঁই পাবে না। মূলত এ নীতিতেই এগোচ্ছেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একইদিন মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইহুদিবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার মতে, হামাসপন্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ, তাই তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। যে কোনো সময় তারা উগ্র হয়ে উঠতে পারে। জড়িয়ে যেতে পারে বড় কোনো অপরাধে। এমন শঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত বলে জানায় হোয়াইট হাউজ।
শুধু ফিলিস্তিন সমর্থক নয় ট্রাম্পের কঠোর নীতির গ্যাঁড়াকলে হাজারও অভিবাসী। তিনি শপথ নেয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক বিমানে করে এর কিছু সংখ্যক মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। তবে সামনের দিনগুলোতে আরও বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আটক করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
ইতোমধ্যেই সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এর অংশ হিসেবে কিউবার গুয়াতেমালায় কারাগার নির্মাণের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যেখানে ৩০ হাজার অভিবাসীকে আটক রাখা যাবে। যদিও ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ।