সকালে তিনি সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে জুলাই-আগষ্টের গণহত্যা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে গত ৬ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিতর্কিত মন্তব্যের পর সমালোচনার মধ্যে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে মানহানির মামলা করেন। ওই দিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত আসামিকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৫ অক্টোবর আসামি উর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও ফেসবুকে অবমাননাকর বক্তব্য লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকারের প্রধান সম্পর্কে বিষোদ্গার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।