জানা গেছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বিনা সুদে লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে। সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ দবির উদ্দিনের বাড়ির সামনে জড়ো হন শাহবাগে যাওয়ার জন্য। তাদের নিয়ে পাঁচ থেকে ছয়টি বাসে করে ঢাকার শাহবাগে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের বাঁধায় মানিকগঞ্জে ফিরে আসেন তারা।
ফিরে আসার পর ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ দবির উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ভুক্তভোগী লতা বলেন, 'দবির ভাই জানিয়েছিল শাহবাগে গিয়ে একটি সমাবেশে অংশ নিলে বিনা সুদে ঋণ দেয়া হবে। যার কারণে আড়াইশ' টাকা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার কাছে গেলে আমায় একটি টোকেন দেয়। আজ সকালে আমার মত অনেক মানুষ ঢাকায় যায়। পরে সেখানের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি আমাদের ঠকানো হয়েছে।'
আরেক ভুক্তভোগী বিলকিস বেগম বলেন, 'দবির এলাকার পরিচিত লোক। তার কথায় বিশ্বাস করে আমি শাহবাগে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়েই বুঝি, সব মিথ্যে। টাকা তো পাইনি হয়রানির শিকার হয়ে মানিকগঞ্জে ফিরেছি। প্রতারক দবিরের কাছে আমাদের টাকা আছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. আমান উল্লাহ বলেন, 'ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ঢাকার শাহাবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য লোকজন জমায়েতের অভিযোগে দবির উদ্দিন, হাসনা হেনা ও দবিরের স্ত্রী চামিলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'