উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা থাকলেও চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা নিয়ে ব্যাট করলে টিকে থাকা সম্ভব, বড় রানও করা সম্ভব। তৃতীয় দিন সেই মানসিকতা নিয়েই শুরু করেছিলো আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দীপু। প্রথম ঘণ্টাও পার করেছেন নির্বিঘ্নেই
দ্বিতীয় ঘণ্টায় এসে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সাবধানি শুরুর পর কেমার রোচের বলে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রানে বিদায় নেন দীপু। দ্বিতীয় সেশনে নিজের ক্যারিয়ারের ২১ তম ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। তবে এরপরেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে সাজঘরের পথ ধরেন। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বেশ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন। ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে লিটন বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি
দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে জাকের আলী অনিক উইকেটে এলে তাকে নিয়ে নির্বিঘ্নেই দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দেন মিরাজ। তবে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই আলজারি জোসেফের বাউন্সারে কাবু মিরাজ ফেরেন শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে। ১৬৬ রানেই ছয় উইকেট হারালে ফলোঅনের চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিলো টাইগারদের।
তাইজুল ইসলামকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৬৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন জাকের। ২৬ রান করে তাইজুল ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকের।
লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে দ্রুত ফলোঅন এড়াতে মারমুখী ছিলেন এই ব্যাটার। তবে ৫৩ বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে জাকেরকে। এরপর হাসান মাহমুদ ও তাসকিন মিলে বাংলাদেশকে ফলো অন এড়ান। তবে এই দুজনের জুটি লম্বা হতে দেননি গ্রেভস।
অলআউট ছিল সময়ের ব্যাপার। তাসকিন-শরিফুল সেটি হতে দেননি। দুজনে ১২ রানের জুটি গড়ে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান তৃতীয় দিনে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯। এখনো ১৮১ রানে পিছিয়ে লাল সবুজের দল। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে শুরু করবেন চতুর্থ দিন।