আজ (শনিবার, ২৩ নভেম্বর) সকালে পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম। এসময় আদালতের রায় প্রত্যাহারের পাশাপাশি এই বাহনটির চালকদের লাইসেন্স প্রদানের দাবি করেন তারা।
এছাড়া সম্প্রতি ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের আন্দোলনে হামলাকারী বহিরাগতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় সংগঠনটি। সেইসাথে আন্দোলনে আটক ও গ্রেফতারকৃত চালকদের দ্রুত ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। একইসাথে বাহনটির চালকদের উপর সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধের দাবি তোলেন রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।
এসময় সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, দ্রুত এই বাহনটিকে গণপরিবহন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। রুট পারমিটসহ আলাদা লেন তৈরি করতে হবে।
ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদ, সমস্যা ও সংকট উত্তরণের জন্য ১২ দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। তাদের দাবিগুলো হলো...
১. মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে আদালতের রায় প্রত্যাহার করতে হবে।
২. দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুটে পারমিট দিতে হবে।
৩. এসব বাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
৪. ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করতে হবে।
৬. সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ করতে হবে।
৭. আন্দোলনে আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৮. ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন ও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৯. জব্দকৃত সকল ব্যাটারিচালিত যানবাহন ব্যাটারি মালিকদের কাছে হস্তান্তর এবং নিলামকৃত ব্যাটারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
১০. চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করতে হবে।
১১. শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১২. মানবিক বিবেচনায় যানবাহনের পুঁজিকে নিরাপদ করে পর্যায়ক্রমে প্যাডেলচালিত বাহনের শ্রম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে।