প্রেসক্লাবে ‘সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার: কুরআন কী বলে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান একটি সামাজিক ও রুহানি শক্তি। ৫ আগস্ট বাংলাদেশ নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে হাজির হয়েছে। আমাদের লড়াইটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে। আমাদের পশ্চিমকে জয় করতে হবে।’
এ সময় তিনি মাস্টারমাইন্ড প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আন্দোলন কে ঘটিয়েছে, কে মাস্টারমাইন্ড এসব খুব তুচ্ছ তর্ক। মাস্টারমাইন্ড পরিচয় করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস মারাত্মক ক্ষতি করেছেন। কোনো একক ব্যক্তি এই অভ্যুত্থান ঘটায়নি। দীর্ঘ লড়ায়ের ফসল এই গণঅভ্যুত্থান।’
১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ এর অভ্যুত্থান একটি উপনিবেশিক-বিরোধী আন্দোলন বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান এনসিপির একক অর্জন নয়।’ এটি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ না করতে আহ্বান জানিয়ে তরুণ সমাজকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এই সমাজ-চিন্তক।
তিনি বলেন, 'সম্মিলিত স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। রক্তের একতা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।'