ইসি পুনর্গঠনে ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক সিআর আবরার; অধ্যাপক জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম, পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠন করা হয় ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটি সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নাম আহ্বান করেন। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম প্রস্তাব করেছিলো। তিনি বিসিএস ৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
আজ রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর নবনিযুক্ত সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন জানান রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব না দিলে ভোট আগের মতোই হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের রির্পোটগুলো পাওয়ার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসবেন। তারা যেই জিনিস রাখতে বলবে আমি সেইগুলো রাখবো।’
ভোটারদের ব্যালটে ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে কমিশন। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মসহ সবার সহযোগিতা চান নতুন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হচ্ছে ভোটারকে নির্বিঘ্নে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদানের ব্যবস্থা করা। একটা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন দিতে চাই। এর জন্য যা যা করার দরকার তার জন্য আমি সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো।’
নতুন ইসি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন।
প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে। যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা পাই।’
নতুন নির্বাচন কমিশনার দ্রুতই জনগণের ভোটের অধিকার অধিকার ফিরিয়ে দিবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।