জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আরেকটি অন্যান্য মাত্রা নিয়ে ভিন্ন আবহে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪। দিবসকে ঘিরে পুরো সেনানিবাস সাজসাজ রবরব। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস যখন সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন, তার আগে থেকে সেখানে অতিথির আসনে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে কুশল বিনিময়ের পর মূল মঞ্চে উঠেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান। জাতীয় সঙ্গীতের সুর মূর্ছনায় শুরু হয় দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান স্মরণ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের। জুলাই অঅভ্যুত্থানে যে তরুণদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ পুনর্গঠনে নতুন সুযোগ এসেছে তাদেরও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে অবদান রেখেছে, তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসে।
ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশ গঠন ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে আসছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে অবদান রেখেছে।’
গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে সশস্ত্র বাহিনী দেশ গঠনে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশার কথাও জানান ড মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পুনর্গঠনে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও তাদের আধুনিক প্রযুক্তির যুক্ত করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গর্বের সাথের কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বলেন, ৩ বাহিনীর উন্নয়নে কাজ অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল নাম। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ৪৩ দেশে ৬৩ টি মিশন সফলতার সাথে শেষ করেছে। বর্তমানে ১২ টি দেশে মিশনে দায়িত্বরত আছে’
এসময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন রাষ্ট্রের অতিথির প্রতি সম্মান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।