চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারণ করা হয় ট্রেড লাইসেন্স ফি। প্রকারভেদে ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে এই ফি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নতুন নিবন্ধন এবং হালনাগাদের জন্য পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স শাখা একটি বড় আয়ের উৎস।
অথচ এই ট্রেড লাইসেন্স শাখায় গত তিন বছরে প্রায় কোটি টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিলেও তা কোষাগারে জমা হয়নি। অনেকের ২ থেকে ৩ বছরের ফি বকেয়া পড়ে আছে। প্রায় হাজার খানেক ব্যবসায়ী পড়েছেন পৌরসভার এমন প্রতারণার ফাঁদে।
অনুসন্ধানে মিলেছে, প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের জমা দেয়ার অর্থের অর্ধেক টাকার হিসাব নেই। ভুয়া সীল ও জাল রশিদের মাধ্যমে পৌরসভার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স শাখার অভিযুক্ত কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গার পৌর কর্মকর্তা মুন্সি হাসানুজ্জামান রিংকু ফোনে বলেন, ‘আমার মতে এ ধরনের ঘটনা তো হওয়ার কথা না, কারণ গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে থাকে। আমি মনে করি না এ অভিযোগ সত্য। তবে না দেখে এখনি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’
বিষয়টি জানার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসক। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ। তবে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর প্রশাসকের সঙ্গেও আলাপ করা হয়েছে। উনি এমন একটি অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে কয়েক বছর যাবত ট্রেড লাইসেন্সের টাকা নিয়ে জমা দেয়া হয় নাই। যার কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৌর প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করছে। আমি পরামর্শ দিয়েছি দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।’
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আওতায় ট্রেড লাইসেন্সধারীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। যা থেকে প্রতি বছর আয় হয় গড়ে ৫০ লাখ টাকার বেশি।