ফুটবল
এখন মাঠে
0

যেমন ছিল বাংলাদেশ ফুটবলের ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষ

শেষ হলো বাংলাদেশ ফুটবলের ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষ। এ বছর কেবল দু'টি জয়ের দেখা পেয়েছেন তপু বর্মনরা। হেরেছেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবগুলো ম্যাচ। স্ট্রাইকারের অভাবে গোলের দেখা না পেলেও, প্রতিপক্ষের গোল হজম করতে হয়েছে প্রচুর। সবমিলিয়ে বছরটা কেমন কাটলো দেশের ফুটবলের?

গেল বছর মালদ্বীপকে হারানোয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। যে কারণে নিশ্চিত হয়ে যায় ছয়টি ম্যাচ। এরমধ্যে চারটি ম্যাচ ছিল ২০২৪ সালে। বিশ্বকাপ বাছাই হওয়ায় প্রতি ম্যাচের আগেই অনুশীলন ক্যাম্পের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। তবে, মাঠের ফুটবলে সেটার প্রভাব দেখা যায়নি।

গত বছরের দুটি ম্যাচের মতো অধরা থেকেছে জয়। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলে চার ম্যাচের একটিতেও প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেনি ক্যাবরেরা শিষ্যরা। ফলাফল ,সব ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে জামাল-তপুরা।

সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ভুটানে যায় বাংলাদেশ। সেখানে মোরসালিনের একমাত্র গোলে প্রথমটি জিতলেও পরের ম্যাচ হেরে যায় লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। যার দ্বরুণ, ভুটান সফর র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির আশা নিয়ে করলেও উল্টো অবনতি হয়। ১৮৪ থেকে ১৮৬ তে নেমে আসে অবস্থান। যদিও এখন ১৮৫ নাম্বারে আছে বাংলাদেশ।

একই আশা নিয়ে মালদ্বীপকে ডেকে আনে বাফুফে। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বছরখানেক নির্বাসিত থাকা দলটার কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে বসে স্বাগতিকরা। গোটা ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে পুরোনো ফিনিশিং দুর্বলতায় জয় বঞ্চিত হয় তপু বর্মণরা।

শেষ ম্যাচ অবশ্য জয় দিয়ে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ। পিছিয়ে থেকেও ২-১ গোলে জিতে মুখ রক্ষা করেছে রনি-পাপনরা। আগামী মাসে ফিফা উইন্ডো না থাকায় এ বছর আর ম্যাচ খেলা হচ্ছে না তপু-মোরসালিনদের।

এ বছরটা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কারণ আটটি ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই তাদের হার দেখতে হয়েছে। মাত্র দুটিতে জয় পেলেও র‍্যাংকিংয়ে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

এএইচ