গেল বুধবার ৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ঘরের মাটিতে মালদ্বীপের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে আক্রমণের পাল্লা ভারি ছিল স্বাগতিকদেরই। তবে গোলের খেলা ফুটবলে গোলটাই করতে পারেনি ক্যাবরেরা শিষ্যরা। যে কারণে দ্বিতীয় ম্যাচের আগেও সেদিনের হতাশা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কোচ আর ফুটবলারদের।
মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেন, 'আমরা সেভাবে ট্রেনিং করেছি, আমরা প্রথম ম্যাচ জেতাটা ডিজার্ভ করি। আমাদের অনেক স্কোরের অপশন ছিল, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি।'
প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, 'প্রথম ম্যাচের দিকে তাকালে দেখবেন, তাদের (মালদ্বীপ) অর্ধে আমাদের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি বেশি ছিল, সুযোগও এসেছিল। তবে গোল কেন করতে পারিনি সে ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচেও আমরা প্রতিপক্ষের অর্ধে আগের ম্যাচের মতোই বেশি থাকার চেষ্টা থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, এবার অন্তত একটা গোল করতে পারবো।'
চলতি বছর সাতটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। অথচ গোল সংখ্যা মাত্র একটি। দীর্ঘদিনের ফিনিশিং দুর্বলতাই যার মূল কারণ। গেল ম্যাচেও বার বার আক্রমণ শানিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন রাকিব-মোরসালিনরা। বছরের শেষ ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য শুধু ফরোয়ার্ড-নির্ভর হতে চায় না বাংলাদেশ।
মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেন, 'আমি শুধু ফরোয়ার্ডদের বলবো না। আমি মনে করি প্রতিটি খেলোয়াড়ের দায়িত্ব গোল করা। আমি মনে করি যারই সুযোগ আসবে সে যেন ওই সুযোগটা কাজে লাগায়।'
হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, 'অনুশীলন নিয়ে আমরা ইতিবাচক। ছেলেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এবার ভালো কিছু করার প্রত্যাশা আমাদের। ফুটবলাররা ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি আমরা এবার জিতবো।'
একটা সময়ে মালদ্বীপকে বলে কয়ে হারাতো বাংলাদেশ। তবে সময়ের পরিক্রমায় বদলে গেছে দলটি। র্যাংকিংয়ে তাদের চেয়ে ২২ ধাপ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বড় ব্যবধানে মালদ্বীপকে হারানো গেলে লাভটা বাংলাদেশেরই হবে।