দেশে এখন
0

বিদেশ থেকে কার্যকর মশার ওষুধ আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে: চসিক মেয়র

চট্টগ্রামে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন। নতুন মেয়রের নেতৃত্বে নগরের চকবাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিদেশ থেকে আরো কার্যকর মশার ওষুধ আনার পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র। আগের ওষুধের সাথে তার কার্যকারিতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর আগে তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাজিরা নেন।

নগরের চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সারি। সাথে আছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও। একে একে সেবকরা সামনে আসছেন, মেয়রকে দিচ্ছেন উপস্থিতির হাজিরা। নগরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে কর্মীরা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা জানতে মেয়রের এমন পন্থা। পরে চকবাজার এলাকা ও আশপাশে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। শুনেন এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ সময় নগরের বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে গবেষণার উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান মেয়র। ঘোষণা দেন বিদেশ থেকে আরও কার্যকর মশার ওষুধ আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বর্তমান ওষুধ কার্যকর হলেও বিদেশি ওষুধের সাথে সেটির কার্যকারিতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে নগরবাসীকে।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মশার ওষুধ যারা কিনেছে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি কার্যকারিতা কম পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমরা একটি গবেষণা প্রোডাক্ট বের করেছি, যার নাম ‘মসকো ভান সল্যুশন’ এটা প্রত্যেক ওয়ার্ড পাঠানো হচ্ছে। এটি এডিস মশার লার্ভাসহ সব মশার লার্ভা ধ্বংস করতে পারে।’

আগের সরকারের আমলে মেয়র কাউন্সিলরা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যেসব প্রকল্প নিয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে শ্বেতপত্র প্রকাশ হওয়া জরুরি বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটির নতুন মেয়র।

এএম