বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ৪১ একর জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৩২৯ কোটি টাকা।
টার্মিনালটিতে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পার্কিং ইয়ার্ড, কার্গো ভবন, বন্দর সেবা ভবন, ইউটিলিটি ভবন, ফায়ার স্টেশন, ওয়েব্রিজ স্কেলসহ অন্যান্য অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বন্দর ব্যবহারকারীরা।
একজন আমদানিকারক বলেন, 'বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য সংরক্ষণের জায়গা সংকট রয়েছে। নতুন টার্মিনাল চালু হলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।'
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'এই টার্মিনাল চালু হলে আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি তাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। যানজট অনেক আকারে কমবে।'
বন্দরে ট্রাকের ধারণক্ষমতা কম থাকায় নগরী জুড়ে লেগে থাকে যানজট। এতে ব্যহত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এমনকি জায়গার অভাবে আমদানিকৃত অধিকাংশ পণ্য রাখা হয় খোলা আকাশের নিচে। পণ্য খালাসের জায়গা সংকটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় ট্রাক চালকদের। এমন পরিস্থিতিতে নতুন টার্মিনাল চালু হলে যানজট নিরসনের পাশাপাশি বাণিজ্যে গতি ফিরবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'যানজটের কারণে ঠিকমতো পণ্য চালানগুলো আমাদের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। সঙ্গত কারণেই আমাদের আমদানি কমে যাচ্ছে।'
বৃহস্পতিবার টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন নৌ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, 'আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের স্বার্থে ৪১ একর জায়গার ওপর কার্গো ভিহিকেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্প চালু হলে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ট্রাক রাখার যে সংকট ছিল সেটা দূর হবে এবং সেখানে প্রায় ক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ ট্রাক রাখা সম্ভব হবে।'
প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় সাত থেকে আট হাজার টন পণ্য আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। আর বছরে বাণিজ্য হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার।