উপদেষ্টা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি এত সহজ যে এর জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন ছিলো না। আমরা আগে থেকেই আন্তরিক ছিলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরাণীগঞ্জে সুপরিসর ক্যাম্পাসের জন্য একনেকে প্রকল্প হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মেগা প্রজেক্ট।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আপত্তি নেই উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সেনাবাহিনী দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো আপত্তি নেই মন্ত্রণালয়ের। ইউজিসি যাতে এটা করে সেটাতে সহায়তা করবে মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার তারা এই হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
এর আগে গতকাল (সোমবার, ১১ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে তারা অন্তর্বর্তী সরকার বরাবর নিজেদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি মৌখিকভাবে আশ্বাস দেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের।
মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আবারো বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে লিখিত বিবৃতির জন্য সচিবালয়ে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল।
সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের অবস্থান আজ তারা দ্রুত ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করার জন্য আন্দোলনে এসেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আগামীকালই (আজ) বৈঠক হবে।’
আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘এই কাজে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ততার করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান। তদন্ত করে যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’