এদিকে গাজীপুরের টি অ্যান্ড জেড গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা সরকারের সহায়তায় মালিক পক্ষ পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। আগামীকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেন।
সোমবার রাতে রাজধানীর বিজয় নগরে শ্রম ভবনে শ্রমিক প্রতিনিধি ও গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনা শেষে এ কথা জানান সচিব।
তিনি বলেন, 'সরকারের সহায়তায় প্রথমত ৬ কোটি টাকা আগামী রোববারের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টাকা দেয়া হবে৷ এ সময় গার্মেন্টস মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে চুক্তি হয় সরকারের।'
সচিব বলেন, '৩০ নভেম্বরের মধ্যে কোনো শ্রমিক আন্দোলনে নামলে এই চুক্তি বাতিল করা হবে। বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতির পর আন্দোলন থেকে সরে আসেন শ্রমিকরা।'
এর আগে দুপুরে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলেও আধাঘণ্টা পর ফের মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। শুধু আশ্বাস নয়, বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।
ফের সন্ধ্যার পর মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনী চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এরপর শ্রমিকরা পুনরায় সড়ক দখলে নেয়।
পরে মুঠোফোনে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
টানা তিনদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়। শ্রমিকরা জানান, তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। তবে বকেয়া বেতনের টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক থেকে সরবেন না তারা।
দুপুরে সদর উপজেলা কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশ, শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তাতে সায় দেয়নি শ্রমিকরা।