পরিষেবা
অর্থনীতি
0

শিগগিরই ১ হাজার মেগাওয়াটের ৪০টি সোলার প্রকল্পের অনুমোদন দেবে সরকার

শিগগিরই ১ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার ৪০টি সোলার প্রকল্পের অনুমোদন দেবে সরকার, দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই ছাড়া হবে দরপত্রও। পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে চাপ কমাতে রুফটপে সোলার প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী তারা, তবে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের দাবি তাদের।

২০৪১ সালের মধ্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্রেডার। অপরদিকে ইউরোপের বাজারে দেশের তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট জ্বালানির ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মেটানোর তাগিদ আছে ক্রেতা দেশগুলোর তরফ থেকে। বর্তমানে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন হচ্ছে মাত্র এক হাজার মেগাওয়াট। যা মোট ব্যবহৃত জ্বালানির মাত্র ৫ শতাংশ।

ভারতে প্রতি ইউনিট সৌর বিদ্যুৎ এর গড় উৎপাদন খরচ ৫ টাকা। বিপরীতে আওয়ামী সরকারের আমলে সৌর বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট প্রায় ১৫ থেকে ২০ টাকা। বিনা দরপত্রে সরকার সমর্থক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আছে এই খাতে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে শিগগিরই ১ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার ৪০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।

জাতীয় গ্রিডে চাপ কমাতে ২০১৮ সাল থেকে নেট মিটারিংয়ের আওতায় শিল্প-কলকারখানা ও ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসাতে বারবার তাগিদ দিয়ে আসছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে, বাস্তবায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

আজ (সোমবার, ১১ নভেম্বর) বিকেএমইএ সদস্যদের নিয়ে ইডকলের রুফটপে সোলার বিষয়ক কর্মশালায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহের কথা জানান ব্যবসায়ীরা। তবে, যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার চান তারা।

কর্মশালায় রুফটপে সোলার স্থাপনের সুবিধা তুলে ধরেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ব্যবসায়ীরা। ২০২৬ সাল নাগাদ ৩০০ মেগাওয়াট রুফটপ সোলার প্রকল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইডকল।

ইএ