ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

বন্যা মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় উত্তাল ভ্যালেন্সিয়া

বন্যার বিপর্যয় মোকাবেলায় আঞ্চলিক সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া প্রদেশ। অঞ্চলটির সরকার প্রধান কার্লোস মাজনের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় ভ্যালেন্সিয়া।

স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া প্রদেশের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত ও ভোগান্তির শিকার যে, তাদের সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। হাজারো ভুক্তভোগীর বিক্ষোভে উত্তাল আঞ্চলিক সরকারের বাসভবন এলাকা। অঞ্চলটির সরকার প্রধান কার্লোস মাজনের বাসভবনে ঢোকার ফটকে কর্দমাক্ত হাতের ছাপ দিয়ে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ।

খুনি স্লোগান দিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার সরকার প্রধান কার্লোস মাজনের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন বন্যায় বিপর্যস্ত বাসিন্দারা। এক পর্যায় পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। রণক্ষেত্রে রূপ নেয় ভ্যালেন্সিয়া। সংঘবদ্ধ জনগণ কখনই পরাজিত হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।

ভ্যালেন্সিয়ার একজন নাগরিক বলেন, ‘এটি একটি আবহাওয়াজনিত ঘটনা। অবশ্যই, এটি এড়ানো সম্ভব ছিল না। তবে সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো যেত। আমাদের রাজনীতিবিদদের গাফিলতির কারণে এত খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে।’

মূলত গত ২৯ অক্টোবর ভারি বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২২০ জনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনের তুলনায় জরুরি সহায়তা সরবরাহ কম থাকায় ক্ষোভ এখন চরম পর্যায় পৌঁছেছে। এমনকি বন্যার আগে সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অভাবকেও বড় করে দেখছেন ভ্যালেন্সিয়াবাসী।

বিক্ষোভকারী আরেক নাগরিক বলেন, ‘আমি এখনও ভাবছি এই সব দুঃস্বপ্ন ছিল। আমি কিছুতেই এত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা আমার শহর এবং আমি এখানেই থাকতে চাই। এর জন্য আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ।’

পাঁচ দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্পেনের এই অঞ্চলটি পরিদর্শনে এক সপ্তাহ আগে রোষানলে পড়েছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ, রানি লেতিজিয়া ও প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তাদের গায়ে কাঁদা ছুড়ে মেরেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা।

বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কমাতে ১০ হাজারের বেশি সেনা, পুলিশ ও সিভিল গার্ডের সদস্যসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে। কিন্তু এখনও স্বস্তি মেলেনি বাসিন্দাদের।

এএম