তথ্য-প্রযুক্তি
অর্থনীতি
0

উদ্ভাবনীতে পিছিয়ে আইসিটি খাত, সহযোগিতার আশ্বাস সরকারের

দেশে গ্রাফিক্স এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনের মতো সেবার প্রসার হলেও উদ্ভাবনী ব্যবসায় পিছিয়ে আইসিটি খাত। এতে আইসিটি খাতের কর্মীদের আয় কমছে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দক্ষতার অভাবে প্রত্যাশা অনুযায়ী সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানালেন, আইন কোন বাধা নয়; ব্যবসা বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশে আইসিটি খাতে কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ, যাদের অধিকাংশই গ্রাফিক্স ও ওয়েবসাইট ডিজাইন, কল সেন্টার কিংবা নানা ধরনের প্রাথমিক সেবাগুলোর সঙ্গে যুক্ত। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আইসিটি খাতে সেবা রপ্তানি করে দেশের আয় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার, যা মোট সেবা রপ্তানির মাত্র ১০ শতাংশের কিছু বেশি।

দেশে যখন আইসিটি খাতের গুরুত্ব বাড়ছে তখন কেন জনশক্তির বিবেচনায় আয় কমছে? এমন প্রশ্নের বাস্তবতা খুঁজতে আইসিটি খাতের বিকাশ নিয়ে সেমিনারের আয়োজন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সেবামূলক ব্যবসার থেকে উদ্ভাবনে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এআই, মেশিন লার্নিং, আইওটিতে বেশি বিনিয়োগ করলে আইসিটি খাতে সুফল পাবে বাংলাদেশ। এছাড়াও এ খাতের অগ্রগতি যেন কখনোই বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য আইন করে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাদের।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আলমাস কবির বলেন, ‘এআই, মেশিন লার্নিং, আইওটিতে বেশি বিনিয়োগ করলে আইসিটি খাতে সুফল পাবে।’

প্রতি বছর প্রায় লাখ খানেক তরুণ যুক্ত হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে কিন্তু সে তুলনায় আইসিটি খাতে যোগ্য লোক পাওয়া যাচ্ছে কম। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু কম্পিউটার ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিতের পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষাও চালুর আহ্বান ডিসিসিআই প্রেসিডেন্টের।

ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘আইডেন্টিফাই করতে হবে আমাদের এই মুহূর্তে কি দরকার। আগামী বছরে আমাদের কি দরকার হবে। আমরা কোথায় যেতে চাই সেই আইডিয়া যদি না থাকে তাহলে আমরা ভুল পথে হাটবো।’

আইসিটি ব্যবসায় আইন নানা সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলে মত বক্তাদের। এর প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, আইন কোনো বাধা নয়, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। কীভাবে কার্যকরভাবে কাজটা করা যায় সেইদিকে আমরা ফোকাস দিচ্ছি। অনেক কিছু আছে যেটার জন্য আমাদের পলিসি ও আইন বদলাতে হবে না।’

ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা ও নাগরিকের তথ্য সুরক্ষায় ড্যাটা প্রাইভেসি আইন দরকার বলে মত দেন বক্তারা।

ইএ