ছুটির দিনে রাজধানীবাসী যখন বিশ্রামে। তখন ঢাকার উপকন্ঠ থেকে ঢাকা অভিমুখে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাস, মিনি ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়িতে করে জড়ো হতে থাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নয়া পল্টন, কাকরাইল, মৎস্যভবন ও এর আশপাশের এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে মিছিল আর স্লোগানে। নির্ধারিত সময়ের আগেই নয়াপল্টনে ঢল নামে মানুষের।
দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে শুরু হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন। স্বাধীনতাপ্রিয়, গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছেন উল্লেখ করেন বলেন, এখানে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না।
তিনি বলেন, ‘এ র্যালির প্রধান আহ্বান হচ্ছে যে, আমরা সবাই অত্যন্ত সজাগ, সচেতন থেকে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা যেকোনো প্রচেষ্টা যারা বাংলাদেশকে ধংস করতে চায় তাদের নস্যাৎ করে দেব।’
এরপরেই বক্তব্য দেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বলেন, জনগণকে ভোটে না ফেরানো গেলে গণতন্ত্রের সুফল মিলবে না। ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সিন্ডিকেটের কবল থেকে দেশ মুক্তি পাবে বলে আশা করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে বিদেশে, প্রশাসনে এখনো সক্রিয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে, সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার। সাড়ে ৩টায় দলের পক্ষে র্যালি উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।
তারপর শুরু হয় নয়াপল্টন থেকে বিএনপির শোভাযাত্রা। র্যালিটি কাকরাইল, মৎস্যভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিটি মোড়ে অপেক্ষারত নেতাকর্মীরা যোগ দেন শোভাযাত্রায়। নিরাপত্তায় প্রতিটি মোড় ও র্যালির সাথে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।