বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালীন গত ১৮ জুলাই উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এসময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। যেখানে আলোচিত সংগীত শিল্পী ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলার প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশদাতা ও আর্থিক সহযোগিতাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত এই সংগীত শিল্পীকে।সোমবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির পুলিশ ।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. মহিববুল্লাহ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আগামী বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা আরও একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে।
রাজধানীর ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সামনে আহত মো. ফজলুর করিমের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা ৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেফতার দেখিয়েছে আদালত।
আজ (সোমবার, ৪ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকবাজার থানার এসআই মো. হাসানুর রহমান তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে যুক্ত হন মো. ফজলুর করিম। দুপুরের দিকে মিছিলটি চকবাজার থানাধীন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সামনে এলে হঠাৎ অতর্কিত আক্রমণে মুখে পড়েন তিনি।
পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ অক্টোবর চকবাজার থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম মো. ফজলুর করিম।