১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার প্রবল আক্রোশ আর ক্ষোভের প্রতিচ্ছবি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসস্থান গণভবন।
সেই গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংরক্ষণাগার করার ঘোষণা এসেছিল আগেই। এবার তা বাস্তবায়নে এলো সরকারি ঘোষণা। শনিবার সকালে গণভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। জানান, লেখক ও গবেষক এবাদুর রহমানতে প্রধান করে ১৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৯ সদস্যের এ কমিটির প্রধান হিসবে কাজ করবেন লেখক ও গবেষক এবাদুর রহমান। পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ জাদুঘরের চূড়ান্ত রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে।’
জাদুঘরে আয়নাঘরের রেপ্লিকা, সারাদেশের জুলাই আন্দোলনের ছবি, আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন ও তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতি থাকবে এই জাদুঘরে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'শুধু স্মৃতি ধারণ নয়, গবেষণার কেন্দ্র হিসাবেও এটি ব্যবহৃত হবে।'
অন্তর্বর্তী সরকারের পরে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলেও এই কার্যক্রম চলমান থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করবে।'
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর স্বৈরাচার সরকারের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আরও বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বরূপ তুলে ধরার পাশাপাশি গবেষণা কাজেও সহায়ক হবে।’
যেহেতু সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হচ্ছে তাই পরবর্তী সরকারও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করবে বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনের নেতারা।