শত শত বছর ধরে চলে আসা গল্পের থিমে পার্টি, সেখানে অতিথিদের অদ্ভুত সাজপোশাক আর খাবার- সবকিছুতে ভুতুড়ে ছাপ। দু'দিন পেরোলেই হ্যালোউইন, দেশে দেশে এরই মধ্যে সাজ সাজ রব।
হাসি-আনন্দ আর উৎসব উদযাপনেই সীমিত নয়, বরং হ্যালোউইনের মাহাত্ম্য আরও অনেকটা গভীর, যার শেকড়ে গেলে মিলবে কয়েক হাজার বছর আগের আধ্যাত্মিক ঘটনাপ্রবাহ আর ততটাই পুরোনো অনেক প্রথা। সবকিছুর মিশেলে আজ সারা বিশ্বে হ্যালোউইন দারুণ এক সাংস্কৃতিক উৎসব।
সবচেয়ে ভয়ংকর সাজে সাজতে আমেরিকা-ইউরোপে সেরা পোশাক কেনায় ব্যস্ত শিশু থেকে শুরু করে তরুণ, বৃদ্ধ সবাই। জনপ্রিয় সিনেমার থিমে নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ‘বিটলজুস’, ‘ডেডপুল’ আর ‘উলভারিন’ পোশাক।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘এখানে ডেডপুল আর উলভারিন পোশাকের কয়েকটি ধরণ আছে। এটি জাম্পস্যুট সংস্করণ। এখানে আলাদা করে নিজেদের থাবাও লাগাতে পারবেন। এগুলো একদম নিরাপদ।’
উৎসবে আগ্রহী এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমি দুইজন বন্ধুর সাথে বেরোবো। আমরা সবাই নানা ধরনের ডাইনির সাজ নেবো। তাই আমি পুরোপুরি কালো রঙে সাজবো। আশা করছি ৬০ বছর বয়সেও আমাকে দেখতে দারুণ লাগবে।’
শুধু মানুষ নয়, আদরের পোষা প্রাণীদেরও সাজানো হচ্ছে বাহারি পোশাকে, দেয়া হচ্ছে বিকট সব সাজ। হংকংয়ে ৪০টি কুকুর-বিড়ালের ভয়ংকর সাজের প্রতিযোগিতায় দারুণ সাড়া পেয়েছেন আয়োজকরা। ‘লিটল ব্রাদার’ নামের একটি পুডল ও তার মালিক ‘ভ্যাম্পায়ার রিটার্নস’-এর সাজ দিয়ে জিতে নিয়েছেন ২ হাজার ৩০০ ডলার।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘ছোট কুকুররা পুরস্কার পায় বেশি। কারণ ওরা ভীষণ চটপটে, অনেক রকম খেলা দেখাতে পারে। এতো বড় কুকুর নিয়ে পুরস্কার জিতে যাওয়ায় আমি দারুণ খুশি। এর জন্য অনেক প্রস্তুতিও নিতে হয়েছিল।’
এখানেই শেষ নয়। হ্যালোউইন সামনে রেখে নিউইয়র্ক, বুয়েন্স আয়ার্স, বোগোতা, সিঙ্গাপুর সিটি, সাও পাওলো, ফ্রাঙ্কফুর্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে রক্ত হিম করা সাজে সেজে ‘জোম্বি ওয়াক’ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন হাজারও মানুষ।