বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আপনাদের দেওয়া করই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। অথচ সরকারের কাছে করের টাকা জমা দিতে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন থেকে ব্যাংকে লাইন দাঁড়িয়ে আয়কর জমা দেয়া বা রিটার্ন জমা দেয়ার ঝামেলা করতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই আয়কর জমা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করবেন, এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহরের সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশকিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য এভাবে আয়কর রিটার্ন দেওয়া এখন থেকে বাধ্যতামূলক করা হলো। এছাড়া দেশের বাকি সবাইকে অনলাইনে ই-রিটার্ন এবং আয়কর জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হলো।’
ভিডিও বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠান কত বেশি আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দিচ্ছে তার ভিত্তিতে পুরস্কারের জন্য জেলায় জেলায়, শহরে শহরে প্রতিযোগিতা হোক।’
দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবকে শিখিয়ে দিন কীভাবে ঘরে বসে অনলাইনে আয়কর দেওয়া যায়। তরুণ তরুণীদের অনুরোধ করছি, এ ব্যাপারে করদাতাকে সাহায্য করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু হতে পারে। ক্রমে সব ধরনের কর অনলাইনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন থেকে আয়কর দেওয়ার অভিজ্ঞতা মসৃণ ও জঞ্জালমুক্ত হোক, এই কামনা করছি।’