আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ'র আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সুমনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করে, রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২১ দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।। ২২ অক্টোবর আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সায়েদুল হক সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি, তবে পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন।
জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনার জন্য সায়েদুল হক সুমন জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ব্যারিস্টার সুমন হিসেবেই পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি নেওয়া সায়েদুল হক যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে উচ্চতর লেখাপড়া শেষে ব্যারিস্টার অ্যাট ল ডিগ্রি নেন।