বিদেশে এখন
0

ব্রিকস সম্মেলন শুরু: নতুন যুগে প্রবেশ করেছে চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব!

ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিরসনে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত। ব্রিকস সম্মেলনের প্রথম দিনের সাইড লাইনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, নতুন যুগে প্রবেশ করেছে চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব। বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেইজিংয়ের সঙ্গে মস্কো কাজ করে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ভ্লাদিমির পুতিন।

৩৬ বিশ্বনেতার আগমনে মুখরিত কাজান শহর। কারণ রাশিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় তাতারাস্তান অঞ্চলের রাজধানীতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ব্রিকস সম্মেলন। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মাধ্যম হিসেবে ব্রিকসকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সম্মেলনের প্রথম দিনের সাইডলাইনে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এসময় শি জিনপিং বলেন, নতুন যুগে প্রবেশ করেছে চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব।

অন্যদিকে পুতিন জানান, বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করে যাবে মস্কো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, '৭৫ বছর ধরে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, আধুনিক যুগে পারস্পরিক সম্পর্কের মডেল হতে পারে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক।'

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, 'গেল দশকে দুই দেশের সম্পর্কে অনেক চড়াই উৎরাই দেখা গেছে। এত দুর্গম পথ পেরিয়ে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।'

চীনা প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের সরকার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভারত তার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে ব্রিকস জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি জানান, ইউক্রেনে সংঘাত নিরসনে সাহায্য করতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে আমরা সবসময় যোগাযোগ রাখছি। আমি আগেও বলেছি, শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাত নিরসন সম্ভব। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পরিপূর্ণ সমর্থন রয়েছে।'

বৈঠকের একপর্যায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক এতটাই গভীর যে, সম্ভবত আমাদের অনুবাদ করারও প্রয়োজন নেই।'

৯ সদস্যের ব্রিকস দিন পরিচিতি পাচ্ছে পশ্চিমা বিরোধী জোট হিসেবে। ইতোমধ্যে জোটের সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরো ৪০টির বেশি দেশ। ১৬তম সম্মেলনের পর্দা নামবে ২৪ অক্টোবর।