বর্ষার বিদায়ের সাথে সাথে কোমল সৌন্দর্য ছড়িয়ে শরৎরানী আসে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে। শরৎ ও হেমন্তে নির্মল আকাশে সাদা মেঘের সাথে মিতালী হয় কাশফুলের। বর্ষা এবং শীতের মাঝামাঝি এই সময়টাতে প্রকৃতিতে লাগে নতুন রং।
বাতাসের মৃদুমন্দ দোলায় কাশবন যখন পরম আনন্দে দুলতে থাকে তখনই বাঙালির মন উদার হয়ে ওঠে।নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দি সেতু এলাকায় প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে প্রকৃতি বন্দনা। উত্তরের বাতাসে মেঘনায় কিছুটা ভাটা থাকলেও প্রকৃতিতে পরিপূর্ণ জোয়ার। হাফ ছেড়ে বাঁচতে শহরবাসীর ছুটে আসা।
দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন জানান, এখানে আসলে মনটা উৎফুল্ল হয়ে যায়। মাঝে মাঝে যখন সময় পাই তখনই আসি।
আরও একজন জানান, আমার অনেক ভালো লাগে শরৎ। আমি এখানে প্রতিবারই আসি। আর এই জায়গাটাও অনেক সুন্দর।
এখানকার প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশকিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা, ঘুরছে অর্থনীতির চাকা ।
দেশীয় খাবার থেকে শুরু করে শিশুদের বিনোদন, সবই আছে এখানে। নানাবিধ খাবার ছাড়াও পাওয়া যায় কসমেটিকস পণ্য৷ বিকেল যখন সন্ধ্যায় উঁকি দেয় তখন বাড়ে কেনা-বেচা, বাড়ে কোলাহল। মেঘনার তীরের এই এলাকায় দৈনিক লেনদেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা।
ব্যবসায়িদের মধ্যে একজন জানান, রেস্টুরেন্ট নিয়ে, ২-৩ টা ছোট ছোট পার্ক নিয়ে মোটামুটি ২০০ থেকে ৩০০ লাক কাজ করছে।
প্রিয়জনদের নিয়ে জেলা ও জেলার বাইরে থেকেও এখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থীরা জানান, এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। নদী আছে, কাশফুল আছে। বাচ্চাদের খেলার জন্য বিভিন্ন রাইড আছে। প্রায় ১ শ একর আয়তনের এই এলাকায় রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে ১২০ টির বেশি।