প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত। তার সাথে সাথে এ প্লাস্টিক ছড়িয়ে গেছে মানুষের রক্তে। কিছুদিন আগের এক গবেষণা তথ্য বলছে, মায়ের থেকে নবজাতকের শরীরে মাইক্রো প্লাস্টিকের প্রবেশ ঘটছে।
২০৫০ সালে সমুদ্রে যত মাছ থাকবে তার থেকে বেশি থাকবে মাইক্রো প্লাস্টিক। ২০০২ সালে আইন করেও বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগে ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। তবে এবার সেই আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে চায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু। প্রথমবার যদি কেউ এ আইন লঙ্ঘন করে তাকে জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বারে জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখানে ঘোষণা দিচ্ছি, যেই মার্কেট আমাকে বলবে ডিসেম্বর ৩১ এর মধ্যে তারা সম্পূর্ণ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাথে মতবিনিময় হয়। এসময় ব্যবসায়ীরা জানান, নভেম্বর থেকে কোন পলিথিন ব্যবহার হবে না আর কোন খাদ্যপণ্যের প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার হবে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা।
পলিথিনের বিকল্প হবে পাট, কাপড় ও চট। বায়ো প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহার এখনই করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে আমরা পাট, চট ব্যবহার করব। তাহলে আমার দেশীয় শিল্প উঠে আসলো। বায়োপ্লাস্টিকের যারা উদ্বাবক আছে তাদের আমি আশ্বস্ত করছি, যে অচিরেই আমরা আপনাদের সাথে বসব।’
এরআগে সকালে ‘বাকুর পথে কপ ২৯’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে একশনএইড সহ ২০টি নাগরিক সংগঠন। সেখানে তরুণ প্রতিনিধিদের সাথে আসন্ন আজারবাইজানে জলবায়ু সম্মেলন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।