পলিথিন-ব্যাগ
নভেম্বর থেকে যেখানে পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন সেখানেই অভিযান
অক্টোবর মাসের শুরুতেই পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের কার্যক্রম শুরু হয়েছে সারাদেশের সুপারশপে। আসছে নভেম্বরে যার পরিধি বাড়বে অন্যান্য বাজারেও। সাধারণ ক্রেতারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ব্যবসায়ীরাদের দাবি বিকল্প ব্যাগের জোগান বাড়ানোর। মন্ত্রণালয় বলছে, পলিথিন নিষিদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি বিকল্প তৈরির উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, যেখানে পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন হয় সেখানেও পহেলা নভেম্বর থেকে অভিযান চলবে।’
পলিথিন বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার, আইন ভাঙলেই জেল-জরিমানা
পহেলা নভেম্বর থেকে সব বাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে। ২০০২ সালের আইন লঙ্ঘন করলেই জেল-জরিমানা। পলিথিনের বিকল্প হবে পাট, কাপড় ও চট। আর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগ মুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
সুপারশপে পলিব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও নেই বিনামূল্যের বিকল্প ব্যাগের ব্যবস্থা
পরিবেশ দূষণ রোধে সুপারশপে নিষিদ্ধ হলো পলিব্যাগ। ক্রেতারা এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বিনামূল্যে বিকল্প ব্যাগের ব্যবস্থা করেনি সুপারশপ। ব্যাগ কেনার বাড়তি খরচ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মনে করেন, বিকল্প পাওয়া সাপেক্ষে এই উদ্যোগ কার্যকর হবে। আর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস মিলেছে- নভেম্বর থেকেই পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ও বস্তার ব্যবহার সর্বত্র নিশ্চিত করা হবে।
১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর অংশ হিসেবে পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানায়ও অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল সিটি করপোরেশ মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা হবে
প্লাস্টিকের বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করে পলিথিন ব্যাগ। শুধু ঢাকা শহরেই মাসে প্রায় ৪১ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ১০ থেকে ১৩ শতাংশ দায়ি প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর কারণে। অন্তর্বর্তী সরকারে দুই উপদেষ্টা জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও দেশে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করা সম্ভব। এরইমধ্যে ঘোষণা এসেছে, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন ক্রেতাদের দেয়া যাবে না।