কারো হাতে দোতারা কারো হাতে একতারা। লাল সালুতে জড়ানো কেউ, কেউ আবার ধবধবে সাদা বসনে। সবাই এসেছেন লালনের আখড়াবাড়িতে। গান বাজনা ও আধ্যাত্মিকতায় মুখর করে রেখেছেন আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ।
অসংখ্য আধ্যাত্মিক গানের স্রষ্টা ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় শুরু হয়েছে লালন উৎসব। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক ফকির লালন সাঁইজি তার দেহত্যাগের পর থেকে ভক্ত অনুসারীরা এ উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও কালিগঙ্গা নদীর তীরের আখড়াবাড়িতে বসেছে দেশের বৃহত্তম সাধুর হাট। উৎসবকে ঘিরে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত সাঁইজির বারামখানা। এখানে এসে খুশি সবাই।
লালন অনুসারীদের একজন বলেন, ‘কেউ ভবের লোক আসে। কেউ সাধু আসে আবার বিভিন্ন পরিবেশের লোক এখানে আসে।’
আরেকজন বলেন, ‘এই মিলন মেলায় এসে ভালো লাগছে।’
মেলায় দেশ বিদেশ থেকে আসা লালন অনুসারী ও পর্যটকদের সুবিধার্থে সার্বিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে লালন একাডেমি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কুষ্টিয়া সভাপতি লালন একাডেমি ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা: শারমিন আখতার বলেন, ‘লালন ভক্ত ও সকল পেশার মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে এই উৎসব উপভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের যতটুকু সম্ভব এখানে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আখড়াবাড়ির বাইরে লালন একাডেমির মাঠে বসেছে লালন মেলা। একতারা-দোতারাসহ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এবছর মেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার মত বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা দোকানিদের।
দোকানিদের একজন বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে ব্যবসা ভালো হবে।’
আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া ৩ দিনের এ উৎসব শেষ হবে শনিবার (১৯ অক্টোবর)।