প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ৫০টি চালিত ট্রাকে ফসল ডটকম লিমিটেডের এই উদ্যোগে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা পেঁপে, লাউ, ঢেঁড়স, পটল, লেবুর মতো পণ্য। তবে সেখানে নেই কাঁচা মরিচ।
বাজারের চেয়ে প্রতিটি পণ্য কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে পাওয়ায় এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোক্তারা। ঢাকার বাইরের জেলা, উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান ক্রেতাদের।
ঢাকা বিভাগ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মফিদুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকা শহরে সবজির দাম একটু বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই জন্য নিম্ন আয়ের মানুষ এই সবজি কিনতে পারছে না। তারা যাতে স্বল্পমূল্যে সবজি কিনে তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে আমরা চেষ্টা করছি। ডিম এক ডজন ১৩০ টাকা, করলা, পেঁপে এবং শসা প্রতি কেজি ২০ টাকা করে বিক্রি করছি। এইভাবে ৬টি আইটেমের একটি প্যাকেজ করে ৪০০ টাকার ৩টি প্যাকেট তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি।'
ঢাকার ৫০টি পয়েন্টে প্রতিদিন এক টন করে কৃষিপণ্য বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যের কথা জানায় ফসল ডট কম। সাড়া পেলে এই ট্রাক সেলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, 'সিন্ডিকেটের যে দৌড়াত্ম্য বারবার হাতবদল, এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের দৌড়াত্ম্য ভাঙার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে কিছুটা সফলতা আপনারা দেখতে পারছেন। ডিমের দাম কিছুটা কমাতে পেরেছি আমরা। আমাদের ভোক্তাদের যে সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভর করতে না হয় সেজন্য স্থায়ী সমাধান হিসেবে আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে প্রমোট করছি। অন্যান্য সকল পণ্যের ক্ষেত্রেও আমি আহ্বান জানাবো আমাদের তরুণরা যেন এগিয়ে আসে এবং এ ধরনের উদ্যোগ নেয়।'
প্রান্তিক কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি পণ্য পৌঁছে দেয়া গেলে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ হবে বলে আশাবাদী শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা। আর এমন উদ্যোগে সরকারের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ইতিমধ্যে ডিমের দাম কমাতে সক্ষম হয়েছে সরকার; শিগগিরই আরও কমবে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।