ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপের নগরীতে পরিণত হচ্ছে লেবাননের বৈরুত। ইসরাইলের নজর পূর্ব ও দক্ষিণ সীমান্তেও। গেল সোমবার রাতভর হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে শতশত বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী।
বিশেষ করে নাবাতিয়াহ অঞ্চলে গেল রাতের হামলায় সশস্ত্র সংগঠনটির অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ইউনিটের কমান্ডার মুহাম্মদ কামাল নাইম নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননে রাদওয়ান ফোর্সের একটি কমান্ড সেন্টার থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানাচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
তবে হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে হিজবুল্লাহও। সোমবার মধ্য ইসরাইলের জনবহুল এলাকা লক্ষ্য করে তিন দফায় হামলা চালায় সংগঠনটি। স্থানীয় সময় বিকেল থেকে রাজধানী তেল আবিবসহ ইসরাইলের ১৮০টি অঞ্চলে বাজানো হয়েছে সতর্কীকরণ সাইরেন।
এদিকে লেবানন থেকে শান্তিরক্ষীদের সরানো হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টেরিম ফোর্স ইন লেবানন বা ইউনিফিলের প্রধান। সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউনিফিল প্রধান বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাদের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি লেবানিজ সরকার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথেও সম্পর্ক বজায় রাখছে ইউনিফিল।’
জাতিসংঘ শান্তি মিশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জন-পিয়ের লাক্রোয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইসরাইলি বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউনিফিলের শান্তিরক্ষীরা নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকবে। ভোরে জাতিসংঘের মহাসচিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নির্বাহী কমিটি সুনির্দিষ্ট এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছে। তবে, শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’
অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এত নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অন্তত ৪ লাখ বাসিন্দা। আর চলমান আগ্রাসনের মধ্যে মধ্য গাজায় দ্বিতীয় ধাপে পোলিও টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতিসংঘ। ১০ বছরের কম বয়সি প্রায় ৬ লাখ শিশুকে পোলিও টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।