দেশে এখন
0

গ্রাফিতিতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসনের চিত্র দেয়ালে ফুটিয়ে তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই চিত্রশিল্পী। পরিত্যক্ত দেয়ালে তাদের আঁকা গ্রাফিতি ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। এই দেয়ালচিত্রে উঠে এসেছে আরব বিশ্বের নীরব ভূমিকার কথাও। রং-তুলির আঁচড়ে চিত্রশিল্পীদের এমন প্রতিবাদে একাত্মতা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকি পার্কের সামনে দুঃশাসন থেকে মুক্তির স্মারক হিসেবে আঁকা হয়েছিল স্বাধীনতার সূর্যোদয় গ্রাফিতি। মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও উসাইদ মুহাম্মদের আঁকা গ্রাফিতিটি নজর কাড়ে সবার। যা ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। এবার তাদেরই আঁকা 'তুফান' গ্রাফিতিটিও চোখে পড়েছে সবার।

শহরের পাওয়ার হাউজ রোডের পরিত্যক্ত পুরাতন বিদ্যুৎ ভবনের দেয়ালে আঁকা হয়েছে আল-আকসা মসজিদ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন ও আরব পাহাড়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন হিসেবে বাংলাদেশি এক সৈন্যের ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোর ছবিও আঁকা হয়েছে। গ্রাফিতিটি আঁকতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা- যার জোগান দিয়েছেন স্থানীয়রা।

চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা তো সুন্দর ঘরবাড়িতে থাকতে পারছি। কিন্তু তারা কীভাবে এই ধ্বংস শহরে থাকছে? এখান থেকেই আমাদের চিন্তায় আসে পরিত্যক্ত ভবনে তাদের জন্য কিছু করার। সেই থেকে এই গ্রাফিতি আঁকা।’

গ্রাফিতিকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নেয়া শিল্পীরা বলছেন, চিত্রকর্মে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে বুঝানোর জন্যই পরিত্যক্ত বিদ্যুৎ ভবনের দেয়ালকে বেছে নেয়া হয়েছে। আর ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরব বিশ্বের নীরব থাকার প্রতীকী হিসেবে আরব পাহাড় আঁকা হয়েছে, যা দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘প্রতিবাদ স্বরূপ এই গ্রাফিতি দিয়ে বিশ্বকে জানানো হয়েছে কীভাবে ফিলিস্তিনের মানুষ জীবন পার করছে।’

ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ববাসী সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আশা গ্রাফিতি দেখতে আসা স্থানীয়দের।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর