এর আগে গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ২টায় মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিবি পুলিশকে।
আটককৃতরা হলেন, মন্দিরের পুরোহিতের সহকারী অপুর্ব সাহা (৩৭), সঞ্জয় বিশ্বাস সাজু (৪০), পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা রানী সরকার (৪২) ও পারুল বিশ্বাস (৪১)।
মামলার এজাহারে বাদী জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, যশোরেশ্বরী মন্দির একটি তীর্থস্থান। ১৮০৯ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মন্দিরটি পরিচালনা করছেন। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির পরিদর্শনকালে দেবীর মাথায় রূপার উপর সোনার জলের রং করা একটি মুকুট পরিয়ে দেন। প্রায় ৩০ ভরি ওজনের উক্ত মুকুটের মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জীর কাছে মন্দিরের চাবি থাকে। তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাঝেমধ্যে রেখা রানীকে পুরোহিত চাবি হস্তান্তর করেন। এমন এক অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর আগত ভক্তদের সেবা দেয়ার সময় মন্দিরের চাবি খুলে কাজের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেখা অসাবধানতাবশত বাইরে চলে যায়। পরক্ষণে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেবীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে মামলা দায়েরের পর বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজের যুবককে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’