বন্যার পর আবারও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে সুনামগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। পূজার ছুটি ঘিরে মানুষের ঢল নেমেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে যেন যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করছেন পর্যটকরা।
একই চিত্র দেখা যায় জেলার নীলাদ্রি লেক, লাল শাপলার স্বর্গরাজ্য বিকি বিল ও শিমুল বাগানে। ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে আছে পুরো এলাকা।
একজন পর্যটক বলেন, 'সবাই একত্রিত হওয়ার বা একটু ঘুরে বেড়ানোর এরকম সময় হয়ে ওঠে না। সেজন্য আমরা বন্ধু-বান্ধব সবাই একসাথে অনেক সময় থাকার জন্য টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছি। আমাদের অনেক ভালো লাগছে ঘুরতে এসে।'
এর মধ্য দিয়ে চাঙা হয়ে উঠেছে জেলার পর্যটন খাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জলছবি, রঙ্গিলা বাড়ই, রূপকথা, সিন্দাবাদ তরীসহ ৯০টি হাউসবোট ও ছোট-বড় প্রায় ২০০ পর্যটকবাহী বোটের সবগুলোই বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটক বাড়ায় বন্যার প্রভাব কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে জানান তারা।
হাউস বোট মালিক অমিত রায় বলেন, 'শারদীয় উৎসব ঘিরে আমাদের আমাদের বোটগুলো সব হাউসফুল। আমরা আশা রাখি এ ভিড় অব্যাহত থাকবে।'
জেলা প্রশাসক বলছেন, পূজার ছুটি ঘিরে ভাটি জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। হাওরের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পর্যটন শিল্পকে একটি রোল মডেল হিসেবে তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ডা.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, 'আমরা পর্যটনের ক্ষেত্রে পুরো সুনামগঞ্জকে একটা রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। পরিবেশগতভাবে এটা যে হুমকির সম্মুখীন, বিকল্প আয়ের মাধ্যমে এটা যদি নিরসন করা যায় তাহলে পরিবেশের যে সংকট আছে সেটা থাকবে না।'
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে তিন দফা বন্যায় জেলার পর্যটন খাতে লোকসান হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার। এ অবস্থায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।