দেশে এখন
0

ডিমের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশ ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ (শুক্রবার, ১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪ এর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাবার হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিমে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ডিমের দাম নিয়ে কারসাজি বড় ধরনের অপরাধ। ডিমের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’

১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাপী ডিম দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগ মুক্তি’। এছাড়াও ডিমের উপকারিতা নিয়ে আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভাপতিত্ব করবেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।

অনুষ্ঠানে ডিমের পুষ্টি উপাদান নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী। এর আগে সকালে খামারি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে র‍্যালির আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করা দিলেও বাজারে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। ভারত থেকে আমদানি করেও ডজন কিনতে হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। বন্যার দোহাই দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা ডজন। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম পাচ্ছেন না দোহাই দিয়ে কেনা-বেচা বন্ধ রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে অন্যান্য বাজারে ডিমের দাম ১৮০ টাকার ঘরে।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন জানান, সরকার যে দাম দিয়েছে সেই দামে আড়তদাররা ডিম কিনতে পারছে না। ফলে ডিম কিনা বন্ধ।

আরো একজন জানান, আমরা সরকারি রেটে ডিম পাচ্ছি না। ভোক্তা অধিকার যে দাম নির্ধারণ করছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। কিন্তু আমরা কোথাও ১০ টাকা ৫৮ পয়সা ডিম পাই নাই।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডিমের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সীমিত সময়ের জন্য সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। প্রাথমিকভাবে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১ কোটি পিস করে এ ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে ১ কোটি পিস, মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এএইচ