তিথি অনুযায়ী পঞ্চমী থেকেই শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিভিন্ন রীতি। পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই দেবী দুর্গার বোধন হওয়ায় ষষ্ঠীর সকালে আনুষ্ঠানিকতায় থাকে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেলতলায় আজ (বুধবার, ৯ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শুরু হয় কল্পনারম্ভ পূজা। পূজার প্রস্তুতি চলতে চলতেই ভিড় জমায় ভক্তরা। চণ্ডীপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি, ষোড়শ উপাচার আরতি এবং অঞ্জলি দেয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় এই পূজার। একদিনে দেবী-দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বাস অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে মনের কোণে কিছুটা শঙ্কা। তবু প্রার্থনা শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সকলের কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা না ঘটুক মন্দিরে মণ্ডপে।
ভক্তদের মধ্যে একজন জানান, সাম্প্রতিক সময় একটি গণঅভ্যুত্থান আমরা পার করে আসছি। আমরা সবাই আশাবাদী যে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে।
আরও একজন জানান, আমার একটাই প্রার্থনা সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকে। কোনো বিভেদ যাতে সৃষ্টি না হয়।
প্রতিবছর বিভিন্ন বাহনে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন মা দুর্গা। তবে এ বছর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শান্তি কামনা করে সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীকরণের প্রার্থনা করেন সকলে।
ষষ্ঠীর আচার আনুষ্ঠানে ভক্তদের মধ্যে একজন বলেন, 'ছাত্রদের রক্তের জোয়ারে যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে এটার চলাচল অব্যাহত থাকবে।'
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অবারিত মঙ্গলধ্বনির বার্তা নিয়ে যে দেবী দুর্গা পা রাখছেন মর্ত্যলোকে তার আরাধনায় আগামী চারদিন দুর্গাপূজার আনন্দ ছড়িয়ে পরবে ভক্তকূলদের মাঝে।