জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোটগণনা শেষে জানা যায়, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ৯০টির মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট পেয়েছে ৪৯টি আসন। অন্যদিকে ২৯টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেলো বিজেপি।
তবে এই নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির। মাত্র তিনটি আসনে জয় পেয়েছে পিডিবি। হেরে গেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি। একটি আসন পেয়ে খাতা খুলেছে আম আদমি পার্টি।
জয় নিশ্চিতের পর ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন তার ছেলে ফারুক আবদুল্লাহ। উপত্যকার জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, 'সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের জনগণের ওপর চাপ প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পুলিশের বদলে এখানে জনগণের রাজত্ব চলবে। যেসব নিরীহ জনগণকে আটক করা হয়েছে, তাদেরকে মুক্ত করতে চেষ্টা করবো আমরা।'
ফল ঘোষণার পর বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ভোট গ্রহণের হার বেশি হওয়াই প্রমাণ করে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে উপত্যকার জনগণের।
এদিকে উত্তরের রাজ্য হরিয়ানায় টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ের রেকর্ড গড়েছে বিজেপি। রাজ্যের ৯০টির মধ্যে ৪৮টিই ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন। যদিও নির্বাচন কমিশনের কাছে ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। বিগত ১০ বছর জনগণের জন্য কাজ করায় হরিয়ানাবাসী বিজেপিকে আবারও বেছে নিয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির।
তিনি বলেন, 'গত ১০ বছর ধরে আমাদের সরকার সততার সঙ্গে কাজ করেছে। সামনেও সততার সঙ্গে আমাদের সরকার কাজ করে যাবে। তৃতীয়বারের মতো হরিয়ানায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠন হতে যাচ্ছে।'
এনডিটিভি সূত্র বলছে, এবারও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নায়াব সিং সাইনিকে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে বিজেপি।