জামিল হান্না, ২৭ বছর বয়সী লেবানিজ নাগরিক, যিনি কাজ করেন ফ্রান্সে। দুই সপ্তাহ আগে লেবানন এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহতের ঘটনার পর আর ফিরতে পারেননি। বাতিল হয়ে গেছে বিমানের টিকিট। বাধ্য হয়ে গুটিকয়েক উপায়ের মধ্যে ছোট প্রমোদতরীতে সাইপ্রাসে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। সেখানে খরচ পড়বে জনপ্রতি ২ হাজার ডলার। দেশকে এমন যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে যেতে কষ্ট হলেও নৌকায় উঠে স্বস্তি প্রকাশ করেন তার মতো অনেকেই।
প্রমোদতরীর মালিক জানান, চলমান সংঘাতে সরকার দেশের বাইরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিধিনিষেধ দিয়ে রাখায় বাধ্য হয়ে নৌকায় করেই দেশে আটকে পড়া লেবানিজদের সাইপ্রাস আর তুরস্কে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে দিনে ৪ থেকে ৫ টি প্রমোদতরি ছেড়ে যেতো, এই সংখ্যা এখন নেমে এসেছে এক থেকে দুইতে। বিমানবন্দর খোলা থাকলেও সেখান দিয়ে ভ্রমণ করা যাচ্ছে না, জলপথে ভ্রমণও নিরাপত্তাহীনতায় কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে যে যেভাবে পারছেন, লেবানন থেকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন নিজ দেশের নাগরিকদের। লেবানন থেকে নাগরিকদের বিশেষ বিমানে করে ফিরিয়ে এনেছে কলোম্বিয়া আর স্পেন। নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তুরস্ক, রাশিয়াসহ অনেক দেশের সরকার। রফিক হারিরি বিমানবন্দরে ভিড় করছেন যাত্রীরা। গেলো দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আর ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সংঘাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ লেবানন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১২ লাখের বেশি মানুষ।