অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ, তবে আসতে পারে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা

ক্রীড়াঙ্গনে একই পদে দুই মেয়াদের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না- যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের ক্রীড়া সংগঠকেরা। তবে বর্তমান কমিটির মেয়াদ পূর্ণ করেই দায়িত্ব ছাড়তে চান ফেডারেশন কর্তারা। সরকারি হস্তক্ষেপে বৈশ্বিক সংস্থার নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আশঙ্কা আর্চারি ফেডারেশনের।

বিভিন্ন ফেডারেশনে বছরের পর বছর ধরে পদ আঁকড়ে রাখা সংগঠকদের শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আল্টিমেটাম দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘কোনো ফেডারেশনে দুইবারের বেশি যাতে নেতৃত্বে না আসতে পারে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আর্চারি, হ্যান্ডবল, রোইং, ভলিবল, ভারোত্তলোনসহ বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা একই পদে বহাল আছেন ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে। ফলে এসব খেলায় একপ্রকার স্থবিরতা বিরাজ করে। ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারে তাই উপদেষ্টার এমন সিদ্ধান্ত।

২০০১ সালে আর্চারি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন রাজীব উদ্দিন চপল। তার সংগঠক জীবনে গুরু মানেন আসাদুজ্জামান কোহিনুরকে, যিনি ১৯৯১ সাল থেকে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বহাল।

উপদেষ্টার হুঁশিয়ারিতে কষ্ট পেলেও, অভিমান চাপা রেখে দুই প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক সাধুবাদ জানিয়েছেন সংস্কারের এই সিদ্ধান্তকে।

বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, ‘প্রত্যেকটা ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে যদি দুই বারের বেশি থাকতে পারবে না যদি থাকে এইটা ভালো। কারণ ৮ বছর অনেক সময়। এই সময়ে একটা লোক যদি চায় সে ভালো করতে পারবে।’

বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘আমি যদি আমরা ব্যক্তিগত অভিমত জানাই তাহলে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। একটা নিয়ম সার্বজনীন থাকা উচিত তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকা প্রয়োজন।’

অধিকাংশ ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। তাই গুরুশিষ্য দুজনেরই আবদার, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ করে সম্মানের সাথে বিদায় নেয়ার।

কোহিনুর বলেন, ‘সরকার তার নিয়ম মেনে চললো এবং আমাদেরও অল্প সময় আছে এই সময়সীমা শেষ করতে পারলাম। আমরাও ভালোভাবে গেলাম। একটা নতুন কমিটি আসলো। এটা হলে ভালো হতো।’

চপল বলেন, ‘যাদের সম্ভাবনা আছে তাদেরকে সময় দেয়া এখনই তাড়াহুড়ো না করা। সংস্কারের জন্য কিছু সময় দেয়া উচিত যে এত তারিখের মধ্যে সংস্কার করে নিবেন। আমার কিছু চাওয়া পাওয়া নাই। আমি চাই সম্মানজনকভাবে ক্রীড়াঙ্গনে থেকে বিদায় নিতে পারি।’

সরকারি হস্তক্ষেপে কমিটি ভেঙে গেলে বেশকিছু সমস্যার মুখে পড়তে পারে আর্চারি ফেডারেশন, এমন আশঙ্কা এই ফেডারেশন কর্তার।

চপল আরও বলেন, ‘আমাদের মেইন ইভেন্ট। চায়নার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে আমরা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ভোটের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি।’

পদে না থাকলেও আমৃত্যু নিজেদের সন্তানপ্রতীম ফেডারেশনের সাথে থাকার অঙ্গীকার দুই ক্রীড়া সংগঠকের কণ্ঠে।

ইএ