তপ্ত রোদ আর গরমের মধ্যেও কৃষকরা ব্যস্ত জমি তৈরি, সবজির চারা রোপনে। বাধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শিমলাগানো এবং পরিচর্যা কাজে। শীতের আগাম সবজিতে পরিশ্রম বেশি হলেও লাভ একটু বেশি, তাই এ সময় সবজি চাষে তাদের মনোযোগ একটু বেশি।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, এক বিঘা জমির বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। আল্লাহর রহমতে যদি বাজার পাই তাহলে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
ভালো বাজার পেলে লাভবান হক কৃষক। আর বাজার না পেলে লোকসান। সবজিতে লাভবান হতে হলে ভাল চারা, বীজ এবং কীটনাশক প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এসব নিশ্চিতের দাবি কৃষকদের। তারা জানান, 'ওষুধ যদি ভালো পাই তাহলে আমাদের আবাদি ফসলটা ভালো হবে।'
নিয়মতান্ত্রিকভাবে সার কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নাজমুল হক মন্ডল বলেন, 'যদি তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় তখন আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিছি যাতে উপরে শেড দেয়া হয় বা ছাউনি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যাতে তাপমাত্রাটা এখানে সহনশীল রাখা যায়। পাশাপাশি রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রেও পরামর্শ দিচ্ছি।'
বগুড়া জেলায় এবছর ৩ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হচ্ছে। আর এবছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫শ' হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ৫৪ হাজার টন সবজি মিলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।